বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
ফেরিঘাটে স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যুর জন্য যুগ্ম সচিব ও জেলা প্রশাসককে বাদ দিয়ে তিনজনকে দায়ী করে হাই কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
প্রতিবেদনে যুগ্ম সচিব আব্দুস সবুর মন্ডলের কোনো অপরাধের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, যুগ্ম সচিব আব্দুস সবুর মন্ডল জানতেন না যে ফেরিঘাটে কোনো মুমূর্ষু রোগী আছে। কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য কোনোভাবেই ফেরি দেরি করে ছাড়া যাবে না বলে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।
ফেরিঘাটে স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যুর জন্য ঘাটের ব্যবস্থাপক সালাম হোসেন, ঘাটের প্রান্তিক সহকারী খোকন মিয়া ও উচ্চমান সহকারী ফিরোজ আলমকে দায়ী করে এই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
হাইকোর্টের নির্দেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রেজাউল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। অপর দুই সদস্য হচ্ছেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আ. সাত্তার শেখ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব তোফায়েল ইসলাম। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হবে।
নড়াইল কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তিতাস ঘোষ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো। ২৫শে জুলাই রাত ৮টার দিকে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌ-রুটের মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি এক নম্বর ভিআইপি ফেরিঘাটে পৌঁছায় অ্যাম্বুলেন্সটি।
তখন ঘাটে কুমিল্লা নামে একটি ফেরি যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় ছিল। এ সময় সরকারের এটুআই প্রকল্পের যুগ্ম সচিব আবদুস সবুর মন্ডল পিরোজপুর থেকে ঢাকা আসবেন বলে ওই ফেরিকে অপেক্ষা করতে ঘাট কর্তৃপক্ষকে বার্তা পাঠানো হয়। যে কারণে তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফেরিতে ওঠে অ্যাম্বুলেন্সটি। কিন্তু এর মধ্যে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যায় তিতাস। বিষয়টি জানাজানি হলে, গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
Leave a Reply